কম্পিউটার কনফিগারেশন নির্ভর করে আপনার কাজের উপর। অর্থাৎ একেক ধরনের কাজে একেক ধরনের সফটওয়্যার ও টুলস ব্যবহার করা। আর এই সফটওয়্যারের জন্য প্রয়োজন আলাদা আলাদা কনফিগারেশন। যেমন আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনাকে এডোব ফটোশপ, এডোব ইলাস্ট্রেটর এর মতো ভারী ভারী সফটওয়্যারের ব্যবহার করতে হবে। আবার আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এতো ভারী ভারী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না। তাই আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী কম্পিউটার কনফিগারেশন করে নেন। ১০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ল্যাপটপ কিনতে চান।
মাদারবোর্ড (Mother Board)
বাজারে অনেক নামিদামি ব্রেন্ড এর মাদারবোর্ড হয়তো আপনি পাবেন। যেমন: Intel,Gigabyte,Asus, MSI ইত্যাদি। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করেন তাহলে আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো Intel/Asus,এর মাদারবোর্ড কিনতে। কারণ 2D/3D কাজের জন্য ভাল পারফর্মেন্স পাওয়া যায়। শুরুর দিকে আপনার বাজেট অনুযায়ী নিতে পারেন। আর যদি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে Intel, Gigabyte, Asus, MSI যে কোনটাই নিতে পারেন।
প্রসেসর (Processor)
স্বাধারনত আমরা Intel বা AMD প্রসেসর ব্যাবহার করি। এর মধ্যে Intel ভাল,। কারণ Intel সুপার ফাস্ট কাজ করে। আপনি শুরু করার জন্য Intel এর core i3 /core i5 নিতে পারেন। তবে core i5 প্রসেসর ব্যাবহার ভাল হবে। কিনার আগে অবশ্যই Processor Generation & GHz দেখে নিবেন। যখন পিসি কিনবেন তখনকার সময়ের Generation বা তার কাছাকাছি জেনারেশন এর প্রসেসর কিনবেন। যেমন বর্তমানে 10th Generation এর প্রসেসর পাওয়া যায়।
র্যাম (RAM)
আপনার কম্পিউটারের পারফমেন্স ডিপেন্ড করে র্যাম উপর। আপনি আপনার মাদারবোর্ড এর সাথে সামনজস্ব রেখে একটি র্যাম নিবেন। বাজারে অনেক কোম্পানির র্যাম পাওয়া যায় আপনি Twinmos, Apacer, A Data, WD সহ আরো অনেক কোম্পানির DDR4 ভারসনের ৮ জিবি / ৪ জিবি র্যাম নিতে পারেন।
হার্ডডিস্ক (Hard Disk)
আপনার প্রয়োজন মতো 500 GB বা 1TB Hard disk নিতে পারেন। কম্পিউটারকে কয়েক গুন বেশী ফাস্টার/দ্রতগতী করতে আপনি চাইলে C ড্রাইভের জন্য আলাদা করে মিনিমাম ১২০/১২৮ GB SSD নিতে পারেন।
মনিটর (Monitor)
আপনার ইচ্ছা অনুসারে যেকোন মাপের (22″ 24”)মনিটর আপনি নিতে পারেন। তবে একটু বৃহৎ মনিটর এ কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায়। Asus/Dell/HP/ ব্রান্ড মনিটর নিলে ভাল হবে। বর্তমানের বেশিরভাগ গ্রাফিক এবং ওয়েব ডিজাইনাররা HP 21.5 Inch EliteDisplay E223 FHD এ মনিটরটি ব্যবহার করে থাকে। আপনি প্রথম দিকে ল্যাপটপ ও নিতে পারেন। সুবিধা হল আপনি মুভ করার সময় সাথে নিতে পারেবেন। প্রফেশনালি যখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ব্যবহার করবেন সেই সময় আপনার লেপট ও ডেস্কটপ ২ টাই নিলে বেশ ভালো হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ
আপনার নিকট যদি core i 3 প্রসেসর আর ৪ জিবি র্যামের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থাকে আপনি অনায়াসে কজা করার জন্য পারবেন। আর গ্রাফিকস ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য হাইলি কনফিগারেশন সেট আপ প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আহামরি কোন ল্যাপটপের প্রয়োজন নেই। আপনি খুবই কমন মানের একটি ল্যাপটপ দিয়ে আধুনিক মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। এমনকি আপনার স্মার্টফোনটিই ডিজিটাল প্রচার করার জন্য যথেষ্ট। মূলত বেশ ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার লাগে যখন ডিজাইনিং বা এডিটিং ক্যাটাগরি কাজ করতে হয়। বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন, পক্ষান্তরে ভিডিও এডিটিং (ওয়েব ডিজাইনের জন্য এবং কমন মানের পিসি যথেষ্ট) এর কাজগুলো যখন করার জন্য হয় সেই সময় কতিপয় জ্যেষ্ঠ সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। মডার্ন প্রচার করার জন্য তেমন বড় কোনো সফটওয়্যার ইউজ করার জন্য হয় না।
গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ভাল পিসি কনফিগারেশন কি? ল্যাপটপ না ডেক্সটপ?বর্তমানে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেন বা করার জন্য চান তাদের ১টি সাধারণ প্রশ্ন হলো – গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ভাল কম্পিউটার কনফিগারেশন কি? ল্যাপটপ না ডেক্সটপ? গ্রাফিক ডিজাইন করতে গেলে বেস্ট হচ্ছে Apple MacBook,MacBook Pro,iMac ইউজ করা। যেহেতু অধিকাংশই উচ্চ বাজেটের জন্য Mac কিনতে আগ্রহী হন না এজন্য আপনি নিচের কনফিগারেশনের Windows পিসি কিনতে পারেন।
Configuration:
MotherBoard: Gigabyte
Processor: Intel core i5 / Intel core i7
Ram: Minimum 8GB for better performance
SSD Hard Disk at lest 128GB
Monitor: Dell/HP/Asus
Keyboard: A4 Tech
Mouce: a47tech
আরো পড়ুনঃ
১০০০০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল বাংলাদেশ ২০২৩